সর্বশেষ

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীতে 'জামায়াতের বিক্ষোভ'

প্রকাশ :


২৪খবর বিডি: ' ভোজ্যতেলসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর। বৃহস্পতিবার সকালে এ বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। মিছিলটি মিরপুর ১০ গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

* সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও বাজার সিন্ডিকেটের কারণেই দেশে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং মূল্যস্ফীতি এখন অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এতে প্রমাণ হয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে  সরকার সংশ্লিষ্টদের বড় ধরনের ভূমিকা  রয়েছে। তিনি অবিলম্বে ভোজ্যতেলসহ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে করে বাজারে শৃঙ্খলা  ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
* সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারি সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডাঃ ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দীন ও ইয়াছিন আরাফাত, শিবিরের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ও পশ্চিমের সভাপতি সাব্বির বিন হারুন প্রমুখ।
' ড. এম আর করিম বলেন, দেশে মূল্যস্ফীতি এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। চাল, ডাল, তেল, আটা, লবণ, চিনি, ডি ম, গোস্ত ও তরিতরকারি সহ সবকিছুতেই অগ্নিমূল্য। মাত্র ১দিনের ব্যবধানে পিয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা।'


 

''  দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীতে 'জামায়াতের বিক্ষোভ'  ''


দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে জনদুর্ভোগ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেলেও সরকারের মন্ত্রীরা জনগণের অসহায়ত্ব নিয়ে রীতিমত তামাশায় লিপ্ত হয়েছেন।
* তিনি বলেন, সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতেই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা ২০১৪ ও ২০২২ সালে নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির করার পর আগামী নির্বাচনের ভোট চুরির নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার নির্বাচন কমিশনের কোন তোয়াক্কা না করেই আগামী নির্বাচনে সকল আসনে বিতর্কিত ইভিএম মেশিনের ব্যবহারের মাধ্যমে আবারও  জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চায়। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের সে পরিকল্পনা কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দলনিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য  সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় রাজপথে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণই নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত